রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে তাসলিমা আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন। তবে, নিহতের গোসলের আগে গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখে শুরু হয় হইচই। এর পরেই পালিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় নিহতের শাশুড়ি নুরুন নাহারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মৃত তাসলিমা আক্তার উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের আবদুস সালামের মেয়ে। তার এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের চরপুবাইল (চকপাড়া) গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে তাসলিমা আক্তার মারা যান।
ওইদিন বিকেলে নিহতের ভাই মোস্তাকিম বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, সাত বছর আগে উপজেলার ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের চরপুবাইল (চকপাড়া) গ্রামের অলুম উদ্দিনের ছেলে সোহেল মিয়ার (৩০) সঙ্গে তাসলিমার বিয়ে হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে তাসলিমার বাবার বাড়িতে খবর পাঠানো হয়, তিনি (তাসলিমা) খুব অসুস্থ। দ্রুত পরিবারের লোকজন না গেলে জীবিত অবস্থায় দেখতে পারবেন না। ওই অবস্থায় রাতেই পারিবারের লোকজন মেয়ের বাড়িতে যান। ততক্ষণে তাসলিমা মারা যান। তাসলিমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রচার করেন, তাসলিমা স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
আজ বেলা ১১টায় জানাজার সময় নির্ধারণ করে সকল প্রস্তুতি শুরু করা হয়। কিন্তু ১০টার দিকে তাসলিমার মরদেহ গোসল করানোর সময় চাচি বেদেনা খাতুন দেখতে পান, তাসলিমার গলায় দাগের চিহ্ন। ওই সময় তাসলিমার বাবার বাড়ির লোকেরা দাগ দেখে ফেলায় মরদেহ রেখে সরে পড়েন শাশুড়ি ও পরিবারের অন্য সদস্যরা।
পরে তাসলিমার বাবার বাড়ির লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘সুরতহাল প্রতিবেদনে গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে, মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করার জন্য ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে।
এসএস